লকডাউনের মধ‍্যে আর্থিক কারনে চিকিৎসা পরিষেবা না পাওয়া মানুষের পাশে এসে দাঁড়ালেন বিধায়ক বেচারাম মান্না

24th April 2020 হুগলী
লকডাউনের মধ‍্যে আর্থিক কারনে চিকিৎসা পরিষেবা না পাওয়া মানুষের পাশে এসে দাঁড়ালেন বিধায়ক বেচারাম মান্না


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) :  করোনার আতঙ্ক মানুষকে আতঙ্কিত করছে ।  কি পরিস্থিতি আসবে তা বলা বাহুল্য।কেন্দ্র সরকার থেকে রাজ্য সরকার এবং রাজ্যের মন্ত্রী আমলারা থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আজ রাস্তায় নেমে সাধারণ মানুষের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে। অন্যদিকে শুক্রবার হুগলীর হরিপাল বিধানসভা বিধায়ক  বেচারাম মান্নার দেখা গেলো  মানবিক দিক ।  ইতিমধ্যে হরিপাল এলাকায় যে সকল জায়গা দুস্থ ব্যক্তিরা  ঠিকঠাক ভাবে রোজগার এর অভাবে সংসার চালাতে পারছেন না তাদের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ।শুক্রবার  দেখা গেল অন্যরকম ছবি হরিপাল বিধানসভার দুই থেকে তিনটি পরিবারের কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন  । লকডাউন চলার জন্য উপার্জন একপ্রকার বন্ধ। কোনক্রমে সরকারি সাহায্যে পেটের জ্বালা মিটছে।  কিন্তু মাসের শেষে কিডনির সমস্যার জন্য দরকার অনেক টাকা।  সেই টাকা পাব কোথায়। এই পরিবারগুলি এলাকার বিধায়ক বেচারাম মান্নার কাছে আবেদন করেছিলেন। যাতে ডাক্তারের  খরচ তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হোক।   বেচারাম মান্নার কাছে খবর পৌঁছাবার পর শুক্রবার  নিজেই সেই সকল পরিবারকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন।  ডাক্তারের  খরচা তাদের হাতে তুলে দিলেন । আক্রান্ত ব্যক্তি কান্নায় ভেঙে পড়ে তিনি বলেন উনাদের আশীর্বাদে কোনোক্রমে সংসার চলছে। চিন্তা করছিলাম কিভাবে ঔষুধ খরচা  জোগাড় করবো। কর্মহীন হয়ে পড়েছি শেষমেষ ভগবানের মতো আমাদের পাশে এসে দাঁড়ালেন আমাদের বিধায়ক বেচারাম মান্না।  ঔষুধ এবং ডাক্তারি খরচা আমাদের হাতে তুলে দিলেন এবং উনি বলেছেন পরবর্তী সময় তোমাদের যা খরচ হবে আমাকে জানাবেন।  বিধায়কের কোন তুলনা হয় না। অন্যদিকে বেচারাম মান্না বলেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নির্দেশে আমরা এলাকায় তান সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছি এবং সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করে চলেছি।  আমার বিধানসভা এলাকায় বেশ কিছু কিডনির রুগি আছে । আমাদের কাছে তারা যোগাযোগ করেছিল কিছু সাহায্যের জন্য।  এই পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করলাম এবং আগামী দিন পরিবারের পাশে থাকব বলে কথা রাখলাম।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।